তওবা ও ইস্তেগফার
তওবা ও ইস্তেগফার
তওবা শব্দের অর্থ হল লজ্জিত হয়ে ফিরে আসা, আর ইস্তেগফার হল অতীত গুনাহ সমূহের জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং ভবিষ্যতে ইচ্ছাকৃতভাবে আর গুনাহ বা অপরাধ করবনা বলে আল্লাহ্ তায়ালার নিকট ওয়াদা করা। এখানে ৪ প্রকারের ইস্তেগফারের দোয়া দেয়া হল।
১। সংক্ষেপে “আস্তাগফিরুল্লাহ” اَسْتَغْفِرُ اللهَ সর্বদা বলা, জিকিরের মত অভ্যাস করা, অর্থ্যৎ “আল্লাহ্ তোমার নিকট আমি ক্ষমা চাই”।
২। اَسْتَغْفِرُ اللهَ رَبِّيْ مِنْ كُلِّ ذَنْبٍ وَاَتُوْبُ اِلَيْهِ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ
উচ্চারণ : “আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জামবেঁও ওয়া আতুবু ইলাইহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিয়্যিল আযিমি”
৩। اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِيْ لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَاَتُوْبُ اِلَيْهِ
উচ্চারন : “আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি”
অর্থ : “আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও চিরন্তন”
বুখারী ও তিরমিজীর হাদীসে এই এস্তেগফারটি পড়ার অপরিসীম ফযিলত বর্ণিত হয়েছে। সকাল-বিকাল ও শয়ন কালে এই দোয়া পড়লে পাঠকারীর গুণাহ্ আল্লাহ ক্ষম করেন। গুনাহর পরিমানের সীমা-পরিসীমা যতবেশী হোকনা কেন আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করবেন। তবে নিয়মিত এ আমল করা উচিত। আল্লাহ্ আমাদের তৌফিক দান করুন।
৪। সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার :
اَللّٰهُمَّ اَنْتَ رَبِّيْ لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ خَلَقْتَنِيْ وَاَنَا عَبْدُكَ وَاَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ وَاَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَاَبُوْءُ بِذَنْبِيْ فَاغْفِرْ لِيْ فَاِنَّهٗ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اَنْتَ
উচ্চারণঃ “আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা খালাকতানী ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহ্ দিকা ওয়া ওয়াদিকা মাছতা- তায়াতু ওয়া আউযুবিকা মিন শাররি মা ছোয়ানাতু ও আবুউ লাকা বিনিমাতিকা আলাইয়া ওয়া আবুউ বিজাম্বি ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা ইল্লা আনতা”।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! একমাত্র আপনিই আমাদের প্রতিপালক। আপনি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। আপনিই আমার ¯্রষ্টা এবং আমি আপনার দাস বা গোলাম। আমি আপনার সঙ্গে কৃত ওয়াদা বা প্রতিশ্রæতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃত কর্মের অনিষ্ট হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপর তোমার দেয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপ সমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই (বুখারী-মিশকাত-২৩৩৫)।
এই ইস্তেগফারটিকে সকল প্রকার ইস্তেগফারের সরদার বলা হয়েছে। মুমিন বান্দাহগন দোয়াটি মুখস্ত করা কর্তব্য। দিনে কমপক্ষে একবার হলেও পড়া উচিৎ। মুখস্ত না পারলে দেখে দেখে ও পড়া যায়।
কোন মন্তব্য নেই